বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা
আজকের পর্বে আমরা আলোচনা করব বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা নিয়ে, প্রথম পর্বে আমরা প্রাচীন বাংলার ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করেছি তার বিস্তারিত লিংক নিচে পাবেন, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা পর্বে আজকে আমরা আলোচনা করব ব্রিটিশ শাসনামল থেকে শুরু করে পাকিস্তান শাসনামলে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত অর্থাৎ মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন-
ব্রিটিশ শাসন
লর্ড ক্লাইভ-
দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন (মোঘল সম্রাট শাহ আলমের সঙ্গে চুক্তি করেন)
৭৬-র মন্বন্তর
-১৭৭০ (১১৭৬ বঙ্গাব্দ)
লর্ড ওয়ারেন
হেস্টিংস - দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা রহিত করে
লর্ড কর্নওয়ালিস
- চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত + সূর্যাস্ত আইন করে
লর্ড উইলিয়াম
বেন্টিঙ্ক - সতীদাহ প্রথা বিলোপ (রামমোহন রায়)
লর্ড ডালহৌসি
- রেল যোগাযোগ, বিধবা বিবাহ (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর), স্বত্ববিলোপ নীতি করে
লর্ড ক্যানিং-
কাগজের মুদ্রা প্রচলন করে
সিপাহী বিদ্রোহ
– ১৮৫৭ - শুরু হয়- ব্যারাকপুর থেকে
রাইফেলের
চর্বির টোটায় গরু ও শূকরের মাংস মেশানোর গুজব
কোম্পানির
শাসনের অবসান, রাণী ভিক্টোরিয়ার শাসনাধীন হয়।
১ম বাজেট-
১৮৬১
ভারতের বন্ধু’
খ্যাত - লর্ড রিপন‘
লর্ড কার্জন
– বঙ্গভঙ্গ ১৯০৫
নতুন বাংলা
প্রদেশের রাজধানী- ঢাকা
লর্ড হার্ডিঞ্জ
(২য়) - বঙ্গভঙ্গ রদ ১৯১১
রাজধানী কোলকাতা
হতে দিল্লীতে স্থানান্তর
হার্ডিঞ্জ
ব্রিজ (পদ্মা)
ভারত ছাড়
আন্দোলন - ১৯৪২
লর্ড মাউন্টব্যাটেন
- সর্বশেষ বৃটিশ গভর্নর
ইস্ট ইন্ডিয়া
কোম্পানির আমলে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন
ফকির আন্দোলন-
ফকির মজনু শাহ
অন্যান্য-
ভবানী পাঠক
তিতুমীরের
প্রকৃত নাম- সৈয়দ নিসার আলী
মৃত্যু- ১৮৩১-
১ম বাঙালি শহীদ
বাঁশের কেল্লা-
নারিকেলবাড়িয়ায়- ধ্বংস হয়- ১৮৩১ সালে
ফরায়েজী আন্দোলন
- হাজী শরীয়তউল্লাহ
পরবর্তী নেতা-
দুদু মিয়া (হাজী শরীয়তউল্লাহর পুত্র)
নীল বিদ্রোহ
- ইংল্যান্ডে শিল্প বিপ্লব হয় ১৮ শতকের শেষের দিকে
পাকিস্তানি শাসন
বাংলাদেশ
পাকিস্তানের অন্তর্ভূক্ত ছিল- ২৪ বছর
পূর্ববঙ্গ
প্রদেশের/ পাকিস্তান আমলে বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, অবিভক্ত বাংলার অর্থাৎ বৃটিশ আমলের বাংলা প্রদেশের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী- এ কে ফজলুল
হক)
২১
দফা দাবি পেশ করে- যুক্তফ্রন্ট,
৬
দফা দাবি পেশ করেন- শেখ মুজিবুর রহমান
১১
দফা দাবি পেশ করে- ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ
বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগ-প্রতিষ্ঠিত- ১৯৪৯
প্রথম
সভাপতি- মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী
প্রতিষ্ঠাকালীন
যুগ্ম সম্পাদক- শেখ মুজিবুর রহমান
শেখ
মুজিবুর রহমান সভাপতি নির্বাচিত হন- ১৯৬৬ সালে
বাংলাদেশ
আওয়ামী মুসলিম লীগ’ থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেয়া হয়- ১৯৫৫ সালে
ভাসানী
আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে পৃথক ‘ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (NAP)’ গঠন করেন- ১৯৫৭ সালে
৬
দফা আন্দোলন- শেখ মুজিবুর রহমান- ২৩ মার্চ, ১৯৬৬
লাহোর
৬
দফা পরিচিত- ‘বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ’ হিসেবে
আগরতলা
ষড়যন্ত্র মামলার মূল নাম- ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতা বনাম শেখ মুজিব ও অন্যান্য’
মোট
আসামি- ৩৫ জন, ৩
জানুয়ারি ১৯৬৮
মামলার
অন্যতম আসামি সার্জেন্ট জহুরুল হককে কারাগারে গুলি করে হত্যা করা হয় (১৯৬৯)
আগরতলা
ষড়যন্ত্র ফাঁস করে দেন- আমির হোসেন
শহীদ
আসাদ নিহত হয়- ২০ জানুয়ারি ১৯৬৯
আগরতলা
ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করা হয়- ২২ ফেব্রুয়ারি
১৯৬৯
শেখ
মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেন- তোফায়েল আহমেদ ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯,,
রেসকোর্স ময়দানে,
জাতির
জনক’ ঘোষণা- ৩ মার্চ ১৯৭১
,আ স
ম আব্দুর রব পল্টন ময়দানে
বাংলাদেশ’
নামকরণ করেন- শেখ মুজিবুর রহমান
শেখ
মুজিব ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ
দেন- রেসকোর্স ময়দানে
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ
স্বাধীনতা
ঘোষণা করেন- শেখ মুজিব, ২৫ মার্চ দিবাগত
রাতে
স্বাধীন
বাংলা বেতার থেকে প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দেন- জিয়াউর রহমান
স্বাধীন
বাংলা বেতার কেন্দ্র স্থাপিত হয়- ২৬ মার্চ, ১৯৭১;
চট্টগ্রামের কালুরঘাটে
মুজিবনগর
সরকার গঠিত হয়- ১০ এপ্রিল -শপথ
- ১৭ এপ্রিল ১৯৭১
মুজিবনগরের
অস্থায়ী সরকারের সদস্য- ৬ জন
রাষ্ট্রপতি
(সরকার প্রধান)- শেখ মুজিবুর রহমান
অস্থায়ী
রাষ্ট্রপতি/প্রেসিডেন্ট - সৈয়দ নজরুল ইসলাম (উপরাষ্ট্রপতি; অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন)
প্রধানমন্ত্রী-
তাজউদ্দীন আহমেদ, অর্থমন্ত্রী- ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী- এ এইচ এম
কামরুজ্জামান, আইন , সংসদীয় ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী- খন্দকার মোশতাক
আহমদ, (এঁদেরকেই জাতীয় চার নেতা অভিহিত করা হয়)
মুজিবনগর
অবস্থিত- মেহেরপুরে, মুজিবনগরের পুরাতন নাম- বৈদ্যনাথতলার ভবেরপাড়া, মুজিবনগর নামকরণ করেন- তাজউদ্দীন আহমেদ
প্রথম
সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে- ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট
মুক্তিবাহিনীর
সর্বাধিনায়ক- জেনারেল এম এ জি
ওসমানী
ওসমানীকে
মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক পদে নিয়োগ - ১৮ এপ্রিল, ১৯৭১
বিমান
বাহিনীর প্রধান- ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার
মুক্তিযুদ্ধের
সময় বাংলাদেশকে- ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিলো
নৌ-বাহিনীর অধীনে ছিল- ১০ নং সেক্টর
(সকল নদী ও বঙ্গোপসাগর)
১০
নং সেক্টরে কোনো সেক্টর কমান্ডার ছিল না
চট্টগ্রাম-
১ নং সেক্টর, ১১
নং সেক্টর- ময়মনসিংহ
বীরশ্রেষ্ঠ
মতিউর রহমান- কোনো সেক্টরে ছিলেন না
বীরশ্রেষ্ঠ
মুন্সী আব্দুর রব- ১ নং সেক্টরে
যুদ্ধ করেন
বীরশ্রেষ্ঠ
মহিউদ্দীন- ৭ নং সেক্টরে
যুদ্ধ করেন
বীরশ্রেষ্ঠ
মোস্তফা কামাল- ৮ নং সেক্টরে
যুদ্ধ করেন
বীরশ্রেষ্ঠ
রুহুল আমিন- ১০ নং সেক্টরে
যু্দ্ধ করেন
এছাড়াও
ব্রিগেড আকারে ফোর্স গঠন করা হয়েছিলো- ৩টি
এস
ফোর্স : মেজর শফিউল্লাহর নেতৃত্বাধীন
কে
ফোর্স : মেজর খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বাধীন
জেড
ফোর্স : মেজর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন
দেশের
অভ্যন্তর থেকে যে সব বাহিনী
মুক্তিযুদ্ধে অত্যন্ত সক্রিয় ছিল-
টাঙ্গাইলের
কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন কাদেরিয়া বাহিনী
বরিশালের
হেমায়েত বাহিনী, কমরেড তোহা, সিরাজ সিকদার
মুজিব
বাহিনী (বি.এল.এফ)
(প্রধান প্রশিক্ষক- হাসানুল হক ইনু)
বিদেশের
মিশনে প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন - কলকাতায়
বাংলাদেশের
বিরোধীতা করে- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন
বাংলাদেশকে
সহায়তা করে- রাশিয়া
ভারত-বাংলাদেশ যৌথবাহিনী গঠন- ২১ নভেম্বর ১৯৭১
ভারত-বাংলাদেশ মিত্রবাহিনীর প্রধান- ফিল্ড মার্শাল স্যাম মানেকশ
ভারত-বাংলাদেশ যৌথবাহিনীর সেনাধ্যক্ষ- জগজিৎ সিং অরোরা
পাকিস্তান
বাহিনীর প্রধান- জেনারেল এ এ কে
নিয়াজী
প্রথম
শত্রুমুক্ত জেলা- যশোর (৭ ডিসেম্বর)
পাকিস্তান
আত্মসমর্পণ করে- ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১
আত্মসমর্পণ
দলিলে স্বাক্ষর করে- রেসকোর্স ময়দানে
বাংলাদেশের
পক্ষে - যৌথবাহিনী প্রধান জেনারেল জগজিৎ সিং
পাকিস্তানের
পক্ষে দলিলে স্বাক্ষর করে- জেনারেল এ এ কে
নিয়াজী
মুক্তিবাহিনীর
পক্ষে নেতৃত্ব দেন- এয়ার কমোডর এ কে খন্দকার
মোট
৯৩ হাজার পাকিস্তানি সৈন্য আত্মসমর্পণ করে
মুক্তিযুদ্ধে
অবদান/বীরত্ব প্রদর্শনের জন্যে রাষ্ট্রীয় পুরস্কার- ৪টি
বীরশ্রেষ্ঠ-
৭ জন, বীরউত্তম- ৬৮ জন, বীরবিক্রম-
১৭৫ জন, বীরপ্রতীক- ৪২৬ জন
01768175426=০১
বাদে, 7=বীরশ্রেষ্ঠ
,68=বীর উত্তম, 175=বীর বিক্রম, 426=বীর প্রতীক
7-বীরশ্রেষ্ঠ:
হামদে মতিনুর রুহে রউজা মোস্তফায় মহীয়ান জাহান ( হামিদুর রহমান, মতিউর রহমান, নূর মোহাম্মদ শেখ, রুহুল আমিন, আব্দুর রউফ, মোস্তফা কামাল, মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর)
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা
মুক্তিযুদ্ধের
চেতনা ৪ টি –
গণতন্ত্র,
ধর্মনিরপেক্ষতা,
জাতীয়তাবাদ
সমাজতন্ত্র
স্মৃতিসৌধের ৭
টি
স্তম্ভের
তাৎপর্য
১৯৫২
সালের ভাষা আন্দোলন।
১৯৫৪
সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন।
১৯৫৬
সালের শাসনতন্ত্র আন্দোলন।
১৯৬২
সালের শিক্ষা আন্দোলন।
১৯৬৬
সালের ছয় দফা আন্দোলন।
১৯৬৯
এর গণঅভ্যুত্থান
১৯৭১
সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ।
আমাদের আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন আর আপনাদের কোন জিজ্ঞাসা থাকলে আমাদেরকে জানাবেন। আমরা আপনাদেরকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার চেষ্টা করব। এরকম আরো ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমাদের সাইটটি অনুসরণ করুন- ধন্যবাদ।
প্রাচীন বাংলার ইতিহাস আর্টিকেলটি পড়তে লিংকে ক্লিক করুন
1 মন্তব্যসমূহ
Wow...
উত্তরমুছুন