বাংলা ভাষার ইতিহাস
বাংলা ভাষার উৎপত্তি
বাংলা
ভাষার উৎপত্তি ঘটে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা গোষ্ঠী হতে। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা বংশের দুটি শাখা শতম ও কেন্তুম। শতম
শাখা হতে আর্য ভাষার উৎপত্তি ঘটে। আর্যদের ধর্মগ্রন্থের নাম বেদ। বেদের ভাষা তাই এর নাম বৈদিক
ভাষা। এটি প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্যের একটি ভাষা। সপ্তম শতকে পাণিনি এই বৈদিক ভাষাতে
কিছু পরিবর্তন আনেন ও নির্দিষ্ট সুত্র
প্রদান।
- বাংলা ভাষার উৎপত্তি - সপ্তম শতাব্দী।
- পানিনি রচিত গ্রন্থের - ব্যাকরণ অষ্টাধয়ী।
- পানিণি ব্যাকরণকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করেন- সংস্কৃত ভাষা।
- বাংলা ভাষার মূল উৎস – বৈদিক ভাষা
- বাংলা ভাষার আদি সাহিত্যিক নিদর্শন - শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য।
- বাংলা ভাষার উদ্ভব ঘটে - খ্রিষ্টিয় দশম শতকের কাছাকাছি সময়ে।
- ভারতীয় আর্য ভাষার প্রাচীন রূপ পাওয়া যায়- ঋগেদের মন্ত্রগুলোতে।
- বাংলা গদ্যের ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয় - আধুনিক যুগে।
- বাংলা ভাষার অস্তিত্ব ছিল - পাঁচ হাজার বছর পর্যন্ত
- আর্য ভারতীয় গোষ্ঠীর প্রাচীনতম সাহিত্যেক ভাষা - বৈদিক ও সংস্কৃত।
- বাংলা ভাষার উৎপত্তি - মাগধী প্রাকৃত।
- প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষার স্তর - তিনটি।
- বাংলা ভাষা হিন্দ-ইউরোপী গোষ্ঠীর বংশধর
- বাংলা লিপির গঠনকার্য স্থায়ীরূপ লাভ করে - প্রাচীন যুগে।
- বাংলার প্রথম মুদ্রন প্রতিষ্ঠান - শ্রীরামপুর মিশন।
- বাংলা লিপির উদ্ভদ ঘটেছে - ব্রাহ্মী লিপি থেকে
- ব্রাহ্মী লিপির পূর্ববর্তী লিপি - খরোষ্ঠী লিপি।
- বাংলা লিপি ও বর্ণমালার উদ্ভব হয়েছে - কুটিল লিপি থেকে
- বাংলা লিপি ও অক্ষরের গঠনকার্য শুরু হয় - সেন যুগে।
- বাংলা গদ্যের বিকাশে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে- সাময়ীক পত্র।
- বাংলা সাহিত্যের প্রথম নিদর্শন - চর্যাপদ।
- চর্যাপদ রচনা করেন - বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণ।
- চর্যাপদ নিদর্শন - আদি/ প্রাচীন যুগের
- চর্যাপদের পুঁথি আবিস্কার করেন - মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী- ১৯০৭
- চর্যাপদের রচনা কাল -সপ্তম -দ্বাদশ শতাব্দী।
- চর্যাপদ ভাষায় রচিত হয়- বঙ্গকামরুপী ভাষায়।
- চর্যাপদ পাওয়া যায়- নেপালের রাজ দরবারের গ্রন্থাগারে।
- টীকাকার মুনিদত্তের মতানুসারে চর্যাপদের নাম - আশ্চর্য চর্যাচয়।
- নেপালে প্রাপ্ত পুঁথিতে পদগুলির নাম - চর্যাচর্য বিনিশ্চয়।
- বাংলা ভাষার সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া যায় - মুন্ডা ভাষার।
- ভারতীয় লিপিমালার প্রাচীনতম রূপ - দুইটি ক. খরোষ্ঠী, খ. বাহ্মী।
- ভারতের মৌলিক লিপি - ব্রাহ্মী লিপি।
- বৈষ্ণব পদাবলীর আদি রচয়িতা -বড়ু চন্ডিদাস।
- আদি যুগে লোকজীবনের কথার সাহিত্যক নিদর্শন -ডাক খনার বচন।
- গীত গোবিন্দ কাব্যগ্রন্থের রচয়িতার নাম - জয়দেব।
- ব্রজবুলি ভাষার শ্রেষ্ঠ কবি নাম - বিদ্যাপতি এবং জয়দেব।
- চৈতন্য পরবর্তী যুগ বা মধ্যযুগের শেষ কবি - ভারতচন্দ্র রায় গুনাকর
- কবি বিদ্যাপতি- মৈথিল ভাষায় রাধাকৃষ্ণ লীলার গীতসমূহ রচনা করেন।
- ব্রজবুলি উপভাষা - মিথিলার উপভাষা ।
- বাংলা ভাষায় রামায়ন অনুবাদ করেন - কৃত্তিবাস।
- রামায়নের আদি রচয়িতা - কবি বাল্মীকি।
- বাংলা ভাষায় মহাভারত অনুবাদ করেন - কাশীরাম দাস।
- মহাভারতের আদি রচয়িতা - বেদব্যাস।
- গীতি কাব্যের রচয়িতা - গোবিন্দ্রচন্দ্র দাস।
- পুঁথি সাহিত্যের প্রথম সার্থক কবি - ফকির গরিবুল্লাহ।
- মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি - মুকুন্দরাম চক্রবর্তী।
- বাংলা ভাষা ও সাহিত্যর প্রাচীনতম শাখা - কাব্য।
- বাংলা গদ্য সাহিত্য কখন শুরু হয় - আধুনিক যুগে।
- মধ্যযুগের অবসান ঘটে - ঈশ্বর গুপ্তের মৃত্যুর সঙ্গে।
- উনিশ শতকের সবচেয়ে খ্যাতনামা বাউল শিল্পী - লালন শাহ।
- বাংলা ভাষার আদি কবি - কানা হরিদত্ত।
- মধ্যযুগের অন্যতম সাহিত্য নিদর্শন - পদ্মাবতী ও অন্নদামঙ্গল।
- চন্ডীদাস – মধ্যযুগের কবি
- আধুনিক বাংলা গীতি কবিতার সূত্রপাত - টপ্পাগান।
- টপ্পা গানের জনক - নিধুবাবু (রামনিধি গুপ্ত)।
- মীর মোশাররফ সাহিত্য ক্ষেত্রে আবির্ভূত হন- উনিশ শতকের শেষার্ধে।
- বাংলা সাহিত্যে গীতিকাব্য ধারার প্রথম কবি- বিহারীলাল চক্রবর্তী।
- বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের প্রথম নির্দশন - শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন।
- শ্রীকৃষ্ণ কীর্তনকাব্য রচনা করেন- বড়– চন্ডীদাস।
- কোরআন শরীফ প্রথম বাংলায় অনুবাদ করেন - ভাই গিরিশচন্দ্র সেন।
চর্যাপদ
- চর্যাপদে বাংলা ভাষা দাবি করেছেন- সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যয়।
- আধুনিকের পন্ডিতগণের মতে চর্যাপদের পুঁথির নাম -চর্যাগীতি কোষ।
- চর্যার যে পদটি টীকাকার কর্তৃক ব্যাখ্যা হয় নি -১১ সংখ্যক পদ।
- চর্যার প্রাপ্ত পুঁথিতে সম্পূর্ন পাওয়া যায় নি - ২৪, ২৫, ৪৮ সংখ্যক পদ।
- চর্যার যে পদটির শেষাংশে পাওয়া যায় নি - ২৩ সংখ্যক পদ।
- চর্যাগীতিকা হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছিল -১৯১৬ সালে।
- চর্যা সংগ্রহটিতে সর্বসমেত চর্যাগীতি ছিল - ৫১ টি।
- চর্যাপদের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় বৌদ্ধ সহজিয়া সিদ্ধাদের গুহ্য সাধনতত্ত্ব এবং তৎকালীন সমাজ ও জীবনের পরিচয়।
- চর্যাপদ রচিত - মাত্রাবৃত্তে ছন্দে।
- সর্বসমেত চর্যাগীতি পাওয়া গিয়েছে - সাড়ে ছেচল্লিশটি।
- সবচেয়ে বেশী পদ রচনা করেছেন - কাহ্নপা-১৩ টি।
- চর্যাপদের রচয়িতা -কাহ্নপা, লুইপা, কুক্কুরীপা, ভুসুকু, সরহপা/সবরপা সহ ২৪ জন।
- চর্যাপদের পদগুলো রচিত - বাংলা, হিন্দী, মৈথিলী, অসমীয় ও উড়িয়া ভাষায়।
ভাষা আন্দোলন
১৯৪৮ সালে পাকিস্তান অধিরাজ্য সরকার ঘোষণা করে যে, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। ১৯৫২ সালের ২১ Februay (৮ ফাল্গুন ১৩৫৮) এ আদেশ অমান্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু সংখ্যক ছাত্র ও প্রগতিশীল কিছু রাজনৈতিক কর্মী মিলে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের কাছাকাছি এলে পুলিশ ১৪৪ ধারা অবমাননার অজুহাতে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। গুলিতে নিহত হন বাদামতলী কমার্শিয়াল প্রেসের মালিকের ছেলে রফিক, সালাম, এম. এ. ক্লাসের ছাত্র বরকত ও আব্দুল জব্বারসহ আরও অনেকে। এছাড়া ১৭ জন ছাত্র-যুবক আহত হয়।
- গণপরিষদে প্রথম বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানান- ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
- পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’ বইটির লেখক- ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
- উর্দু এবং উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা’- মুহম্মদ আলী জিন্নাহ, ১৯৪৮
- ভাষা আন্দোলনের সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী- খাজা নাজিমউদ্দীন
- ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ববঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী- নুরুল আমিন
- কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়- ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২
- কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন- শহীদ শফিউরের বাবা
- আমার ভাইয়ের - ফেব্রুয়ারি’- প্রভাত ফেরীর গান- গীতিকার- আবদুল গাফফার চৌধুরী, সুরকার- আলতাফ মাহমুদ- শিল্পী- আব্দুল লতিফ
আমাদের আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন আর আপনাদের কোন জিজ্ঞাসা থাকলে আমাদেরকে জানাবেন। আমরা আপনাদেরকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার চেষ্টা করব। এরকম আরো ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমাদের সাইটটি অনুসরণ করুন- ধন্যবাদ।
0 মন্তব্যসমূহ