স্কিন ক্যান্সারের লক্ষণসমূহ, কারণ ও প্রতিকার

 



স্কিন ক্যান্সার কি?

স্কিন ক্যান্সার হল একটি   মারাত্মক রোগ এটি খুব সহজে বুঝা যায় না।বেশিরভাগ রোগীর লক্ষণ দেখে না বোঝার কারণে চিকিৎসকের কাছে যেতে দেরি করে ফেলে এবং এর জন্য পরিণতি হয় ভয়াবহ।স্কিন ক্যান্সার ক্যান্সার বা চামড়ার ক্যান্সার হলো এমন একটি রোগ যা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, এই রোগের লক্ষণ চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত। 

 

স্কিন ক্যান্সারের লক্ষণসমূহ

শরীরের ত্বকে যেকোনো জায়গায় গোল দাগ হতে পারে স্কিন ক্যান্সারের লক্ষণ। স্কিন ক্যান্সার বা চামড়ার ক্যান্সার হলে উপরে দেখা দিতে পারে লাল, কালো, বাদামী গোলাপি ধরনের দাগ এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চামড়ার উপরে এরকম দাগে চুলকানি বা জ্বালাপোড়া দেখা দেয়।

 

নিচের ঠোঁটের দিকে যদি কোন দাগ দেখা যায় তবে এটা কোন হরমোনজনিত ব্রণ নয়, এর বাইরে অন্য যেকোন সমস্যা হতে পারে।এটি সাধারণত খাবারে হজমের সমস্যা এনজাইম ফাংশন সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে।উক্ত স্থানে স্বাধীনতাকে সাধারণত ব্রণ হয় না সুতরাং অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে এটি কিট জীবাণু সংক্রান্ত সমস্যা নাকি।

 


বয়সন্ধিকাল ঋতুস্রাব বন্ধ বা অন্য যেকোনো কারনেই ত্বকে ব্রণ উঠে ,এছাড়াও ব্রণ ব্রণ চুল লম্বা অথবা চুল পড়া বা ত্বকের শুষ্কতার লক্ষণ হতে পারে হরমোন ভারসাম্যহীনতার কারণে।যদিও এই সমস্যাগুলো চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নির্ণয় করা কঠিন।

 

পানি খেলে শরীরের স্বাভাবিক ক্রিয়া সচল রাখতে সাহায্য করে এবং পানি না খেলে শরীরে পানির ঘাটতি বোঝা যায়, স্কিন নিস্তেজ শুষ্ক হয়ে পরে। যদি স্কিন প্রয়োজনমতো পানি শোষণ করে তবে সাধারণত স্ক্রিনের কোন দাগ দেখা যাবে না এবং প্রতিদিন চাহিদামত পানি পান করা উচিত।

 

স্কিন ক্যান্সারের কারণ

স্কিনে কেমিক্যালযুক্ত ব্র্যান্ড ছাড়া  ক্রিম ব্যবহার করলে ,অতিরিক্ত রোদের ভিতর ঘোরাঘুরি করলে ও কেমিক্যালযুক্ত মেকআপ ব্যবহার করলে ও ঘনঘন ব্লিচ করলে ক্যান্সার হতে পারে।

 

অনেকেই ফর্সা হওয়ার জন্য বাজার থেকে অতিরিক্ত কেমিক্যাল যুক্ত নন ব্র্যান্ডের ক্রিম কিনে এনে ত্বকে ব্যবহার করে, কেমিক্যালযুক্ত নন-ব্র্যান্ডেড ক্রিম গুলো খুবই মারাত্মক হয় স্কিনের জন্য কারণ স্কিনে এই কেমিক্যাল যুক্ত ক্রিম গুলি ব্যবহার করলে চামড়া পুড়ে যায় এবং ত্বক পাতলা হয়ে যায় , স্কিন পাতলা হয়ে যাওয়ার জন্য স্কিন ক্যানসারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়, পাতলা তকে যখন কেমিক্যালযুক্ত ক্রিম গুলি ব্যবহার করে তখন স্কিন ফর্সা হওয়ার বদলে ক্যান্সারের দিকে এগিয়ে যায়,তাই স্কিন ভালো রাখার জন্য এবং স্কিন ক্যান্সারের হাত থেকে বাঁচার জন্য ত্বক ফর্সাকারী নন-ব্র্যান্ডেড স্কিমগুলি ব্যবহার না করাই  উচিত।

 


অনেকে প্রতিদিনই শখ করে নিয়মিত মুখে মেকআপ ব্যবহার করে,মেকআপ এর কেমিক্যাল গুলো ত্বকের কোষের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর।দীর্ঘদিন যাবৎ ত্বকের ওপর কেমিক্যালযুক্ত মেকআপ এর প্রলেপ ডেকে আনতে পারে স্কিন ক্যান্সার, তাই  প্রয়োজন ছাড়া প্রতিদিন মেকআপ না করাই ভালো ,স্কিনে এছাড়া ঘনঘন ব্লিচ করার পরিমাণও কমানো উচিত,কারণ ঘনঘন ব্লিচ করলে স্কিনের অনেক ক্ষতি হয়,তাই সাধারণত ত্বকের যত্নের জন্য ঘরোয়া প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা উচিত কারণ  প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপাদানে কোন কেমিক্যাল থাকে না,ফলে স্কিন ক্যান্সারের কোনো সম্ভাবনা থাকেনা। প্রাকৃতিক উপাদান স্কিন কে সবথেকে ভালো সুস্থ সুন্দর রাখে। 


স্কিন এলার্জি ঔষধ

স্কিন এলার্জি দেখা দিলে সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং এর পাশাপাশি পেভিসন মলম ব্যবহার করতে পারেন নিয়মিত সেক্ষেত্রে ভালো উপকারিতা পাবেন। এছাড়াও প্রতিদিন গোসলের সময় হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন এতে স্কিন এলার্জি অনেকটা প্রশমিত হবে। স্কিন এলার্জি বেড়ে গেলে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই যতো দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের শরনাপন্ন হতে হবে এবং উপযুক্ত চিকিৎসা নিতে হবে অন্যথায় এলার্জি থেকে স্কিন ক্যান্সার হতে পারে।


শরীরে বা স্কিনে লালচে ভাব বা ফোসকা পড়তে পারে,এবং স্কিনে ধরনের লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিতে পারে।উপরোক্ত সমস্যাগুলি দেখা দিলে অবশ্যই খুবই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়াও শরীরের তাপমাত্রা 40 ডিগ্রি পার হলে সতর্ক হতে হবে এবং অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।


 স্কিন ক্যান্সারের ছবি







একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ