গর্ভবতী মায়েদের যে কাজগুলো ভুলেও করা যাবেনা এবং তাদের খাবার তালিকা

 



গর্ভাবস্থায় যে কাজগুলো এড়িয়ে চলবেন

গর্ভাবস্থায় জটিল কোনো শারীরিক সমস্যা না থাকলে সাধারণত ঘরের কাজ করার পরামর্শ দেন     বিশেষজ্ঞরা। সময়  শরীর অ্যাক্টিভ রাখলে সন্তান প্রসবের সময় কষ্ট কম হয়.. কিন্তু সব ধরনের কাজ  করা  এসময় উচিত না। গর্ভবতী মহিলাদের কিছু কাজ এড়িয়ে চলাই ভালো


গর্ভাবস্থায় সময়টি মহিলাদের জন্য খুবই বিশেষ একটি সময়। সময় মহিলাদের মেন্টাল সাপোর্ট দিতে হয় যাতে গর্ভবতী মহিলা কোন মানসিক অশান্তিতে না ভোগে এবং সবসময় টেনশন মুক্ত থাকে। .গর্ভকালীন সময়ে মহিলারা হাসিখুশি থাকলে বাচ্চা ভালো থাকে।         

 

গর্ভকালীন সময়ে ভারী কিছু কোনভাবেই বহন করা যাবে না।  কোন ভারী আসবার পত্র এক জায়গা  কসথেকে অন্য জায়গায় নেওয়া যাবে না কারণ ভারী কিছু বহন করলে পেটে চাপ লেগে ব্লিডিং শুরু হতে পারে  এবং বাচ্চা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

 

গর্ভকালীন সময়ে উঁচুতে উঠে পর্দা পাল্টানো ফ্যান পরিষ্কার ঝুল ঝাড়া এধরনের কাজ কখনই করা যাবে না।  কারণ মাটিতে পড়ে গেলে মা বাচ্চা দুজনেরই ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।  গর্ভকালীন সময়ে প্রথম তিন মাস এবং শেষের তিন মাস  অনেকক্ষণ যাবৎ দূরের জার্নি করা  যাবেনা

 

গর্ভকালীন সময়ে প্রতি তিন মাস পর পর চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এক্সরে রুমের সামনে যাওয়া যাবে না কারণ এক্স-রের আলোকরশ্মি তে বাচ্চা পেটের ভিতর বিকলাঙ্গ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

 

গর্ভাবস্থায় কস ,জাতীয় খাবার যেমন আনারস পেঁপে গাজর   সকল খাবার খাওয়া যাবেনা এসকল খাবার খেলে বাচ্চা  নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। . গর্ভাবস্থায় প্রেসার হাই থাকলে টোকা লবণ খাওয়া যাবেনা.. টোকা লবণ খেলে রোগীর শারীরিক ঝুঁকি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে

 

গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মা এবং তার পরিবারের সবার অনেক  যত্নশীল এবং সতর্ক হতে হবে যাতে মা বাচ্চার কোন ক্ষতি না হয়


গর্ভাবস্থায় যে কাজগুলো  করা যেতে পারে

গর্ভবতী মহিলারা সময় শাক সবজি কাটা এবং  ধোয়ার কাজ করতে পারে। তবে মাটিতে বসে সবজি বটি দিয়ে না কাটাই ভালো। আবার বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও কাটা যাবে না। কিছু সবজি   চেয়ারে বসে টেবিলে রেখে  কাটতে  পারবে।       

 

লম্বা হাতলওয়ালা ঝাড়ু বা মপ দিয়ে গর্ভাবস্থায় ঘর ঝাড়  দেওয়া বা মোছা যাবে। মাটিতে ঝুকে ঘর  মোছা বা ঝাড়ু না দেওয়াই ভালো  দেওয়া ভালো..গর্ভাবস্থায় মহিলাদের পেটের ওজন অনেকটাই বেড়ে যায় মাটিতে ঝুঁকে কাজ করলে পেটে চাপ পড়তে পারে তাই ধরনের কাজ এড়িয়ে চলাই ভালো।       

 

লেবুর রস বেকিং সোডা সাদা ভিনেগার দিয়ে বাথরুম পরিষ্কারের কাজ গর্ভবতী মহিলারা করতে পারবে।  কিন্তু বাথরুম পরিষ্কারের জন্য এসিড জাতীয় বা রাসায়নিক পদার্থ সময় একেবারে ব্যবহার করা।  উচিত নয় কারণ রাসায়নিক পদার্থের কারণে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে পেটের ভিতর।

 

সময় গর্ভবতী মহিলারা বাসনপত্র পরিষ্কার করতে পারবে.. তবে বেশি চাপ দিয়ে ঘষামাজা করা যাবে না একটানা 15 থেকে 20 মিনিটের বেশি দাঁড়িয়ে থাকা যাবেনা

 

গর্ভবতী মায়েদের যে সকল খাবার খেতে হবে

 সুস্থ স্বাভাবিক সন্তানের জন্য গর্ভবতী মায়েদের সুস্থ থাকা অত্যন্ত জরুরী এসময় তাদের পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। বেশি বেশি আমিষ জাতীয় খাবার ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খেতে হবে যেমননিয়মিত বাদাম এগুলো খেতে হবে। গর্ভবতী মায়েদের সামুদ্রিক মাছ শাকসবজি মৌসুমী ফল বেশি বেশি খেতে হবেমনে রাখতে হবে একজন সুস্থ মায়েরা পারে একজন  একটি সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে পারে। তাই আমাদের গর্ভবতী মায়েদের প্রতি যত্নশীল এবং তাদের খাবারের তালিকা ক্ষতি লক্ষ রাখতে হবে তাদের যথাযথ পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করতে হবে যেন অনাগত সন্তানটিও সুস্থ এবং পুষ্টিকর হয়।

 

গর্ভবতী মায়েদের যে সকল খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে

 গর্ভবতী মায়েদের সুস্থতা নিশ্চিত করতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার তালিকা করতে হবে এবং যে সকল খাবার তাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে সেগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। গর্ভবতী মায়েদের কলিজায় এবং কলিজার তৈরি খাবার এড়িয়ে চলতে হবে, কাঁচা ডিম পাস্তুরিত দুধ খাওয়া যাবেনা এছাড়া কাঁচা পেঁপে, চা-কফি, এবং অর্ধসিদ্ধ মাংস এড়িয়ে চলতে হবে।

 

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ