মধুর যত উপকারিতা
মধুর সাধারণ উপকারিতা সম্পর্কে আমরা জানি, এছাড়াও মধুর আরও
উপকারিতা রয়েছে যেমন হাঁপানি ও এ্যাজমার কাজ করে,
ত্বকের লাবণ্যতা বৃদ্ধি করে,
মস্তিষ্ক সুস্থ রাখে, দুর্বল পুরুষের শক্তি জোগায় ইত্যাদি। নিম্নে মধুর ১০ টি
অজানা উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা
হলো-
ত্বকের লাবণ্যতা বৃদ্ধি করে
সেই আদিম কাল থেকে রূপচর্চায় ব্যবহার হয়ে আসছে মধু, মেয়েরা মধু রূপচর্চায় ব্যবহার করে সে পৃথিবীর শুরু লগ্ন থেকে, নিয়মিত মধু ব্যবহারের ফলে ত্বকের লাবণ্য তা বৃদ্ধি পায় এবং ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর হয়ে যায়, তাই মেয়েরা রূপচর্চায় মধু কে সব সময় প্রাধান্য দিয়ে থাকে
তারুণ্য বজায় রাখে
তারুণ্য ধরে রাখতে মধুর কোনো জুড়ি নেই, মধু ত্বকে কুচকানো ত্বক কি করে মসৃণ এবং লাবণ্যতা বৃদ্ধি করে, নিয়মিত ত্বকে মধু ব্যবহার করলে বয়সের কারণে ত্বকের কুচকানো ভাব দূর হয়ে যায় এবং দীর্ঘদিন তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে,
পুরুষের যৌন দুর্বলতা দূর করে
পুরুষের যৌন দুর্বলতা দূর করতে মধু অতুলনীয়, যে কোন চিকিৎসা আছে মধু এ রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কার্যকর ভূমিকা পালন করে, নিয়মিত প্রতিদিন সকালে এবং ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুই চামচ মধু খেলে পুরুষের শক্তি ফিরে আসতে পারে, মধু সর্বদা শক্তিবর্ধক হিসেবে কাজ করে,
ওজন কমাতে সাহায্য করে
বর্তমানে অধিকাংশ মানুষই স্থূলকায় এবং অধিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে, অনেকের জন্য এই স্থূলকায় স্বাস্থ্য কমিয়ে আনা অনেকটাই অসম্ভব ব্যাপার, মানুষ মানুষ তাদের স্থূলকায় শরীর নিয়ে অস্বস্তিতে থাকে, ওজন বেড়ে গেলে শরীরে রোগ ব্যাধি বেড়ে যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় শরীরের অলসতা বাড়ে, নিয়মিত প্রতিদিন 2 চা চামচ করে মধু খেলে ওজন কমানো সম্ভব, ওজন কমাতে সাহায্য করে
হজমে সহায়তা করে
আমরা যে খাবার প্রতিদিন খেয়ে থাকে পাকস্থলী তা সাধারণত হজম করে শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে শক্তি সরবরাহ করে, কিন্তু হজমশক্তি ভালো ভালো না হয় সে ক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন সমস্যায় করতে পারি, পেট খারাপ শরীর দুর্বল বমি বমি ভাব গ্যাস্ট্রিক সমস্যা ইত্যাদি, মধু হজমে সহায়তা করে, যাদের খাদ্য হজমের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত 2 চা চামচ করে মধু খেলে ভালো ফলাফল পেতে পারে,
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
মধু মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী একটি খাদ্য, মধু মানব শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করে, মধু যেকোনো ধরনের ব্যাকটেরিয়া জনিত সংক্রমণ থেকে মানব শরীরকে রক্ষা করে,
হাঁপানি ও অ্যাজমা রোধে সহায়তা করে
দীর্ঘদিন ধরে তারা হাঁপানি ও অ্যাজমা রোগে ভুগছে তারা নিয়মিত গরম মধুর সাথে কালোজিরা খেলে ভাল ফলাফল পাবেন এবং হাঁপানি ও অ্যাজমা থেকে চির মুক্তি মিলবে, মধু এবং কালোজিরা সংমিশ্রণ হাঁপানি বা অ্যাজমা রোগের জন্য সর্বোত্তম ওষুধ হিসেবে স্বীকৃত, প্রতিদিন সকালে এবং রাতে মধু এবং কালোজিরা মিশ্রণ খেলে অনেক রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করবে
রক্ত উৎপাদন ও রক্ত পরিষ্কার করে
মধু রক্ত উৎপাদনে সহায়তা করে এবং রক্ত পরিষ্কার করে, যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগছে তারা নিয়মিত মধুপান করলে দ্রুত রক্ত উৎপাদন হবে এবং রক্তশূন্যতা দূর হবে,
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে
যাদের দৃষ্টি শক্তি দুর্বল তারা নিয়মিত সকালবেলা এবং রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে একবার দুই চামচ করে মধু খেলে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পাবে,
পাকস্থলী সুস্থ রাখে
পাকস্থলী আমাদের অন্তঃস্থ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মধ্যে অন্যতম যার কাজ হচ্ছে খাবার হজম করা এবং শক্তি সরবরাহ করা, নিয়মিত মধু খেলে পাকস্থলী হজম শক্তি ,তাই পাকস্থলী সুস্থ রাখতে প্রতিদিন সকালে এবং রাতে খালি পেটে দুই চামচ করে মধু খেতে হবে,
দাঁত ও হাড় গঠনে সহায়তা করে
মধুতে রয়েছে ক্যালসিয়াম জাত দাঁত ও হাড় গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে, দুর্বল দাঁত ও হাড় বৃদ্ধির জন্য মধু অতুলনীয়, নিয়মিত মধুপান করলে দাঁত শক্ত এবং হাড় গঠনে সহায়তা পেতে পারে
রক্তশূন্যতা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
শরীর দুর্বল বা রক্তশূন্যতা ও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা সমাধান হিসেবে মধুর ভূমিকা অনস্বীকার্য, নিয়মিত এই সকল রোগ মুক্তি মিলতে পারে,
0 মন্তব্যসমূহ