বাংলাদেশের 64 টি জেলার নাম মনে রাখার কৌশল




বাংলাদেশের ৮টি বিভাগ ও 64 টি জেলার নাম

রংপুর বিভাগের জেলা সমূহের নাম মনে রাখার কৌশল 

বিভাগ- রংপুর প্রতিষ্ঠিত হয়- ২০১০জেলা- ৮টি রংপুর বিভাগের যে আটটি জেলা  রয়েছে- পঞ্চগড়, লালমনিরহাটঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, রংপুর, গাইবান্ধা।

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়: পঞ্চলাল ঠাকুর দিনার বিয়ের জন্য নীল রংয়ের কুড়িটা গাই দান করলেন।

ব্যাখ্যা: পঞ্চ- পঞ্চগড়লাল- লালমনিরহাট, ঠাকুর- ঠাকুরগাঁও, দিনার- দিনাজপুর, নীল- নীলফামারী, রংয়ের- রংপুর, কুড়িটা- কুড়িগ্রাম, গাই- গাইবান্ধা।

 

সিলেট বিভাগের জেলা সমূহের নাম মনে রাখার কৌশল

বিভাগ- সিলেট প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৯৫জেলা- ৪টি  সিলেট বিভাগের চারটি জেলা- সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ।

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়: সিলেটের হবি মৌলভীর সুনাম অনেক।

ব্যাখ্যা: সিলেটের- সিলেট, হবি- হবিগঞ্জমৌলভীর- মৌলভীবাজারসুনাম- সুনামগঞ্জ।

 

রাজশাহী বিভাগের জেলা সমূহের নাম মনে রাখার কৌশল

বিভাগ- রাজশাহী প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৮২৯জেলা- ৮টি রাজশাহী বিভাগে আটটি জেলা হল- বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ , নাটোর, পাবনা, জয়পুরহাট।

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়: বগুড়ার নবাব সিরাজ শাহ নও মাস যুদ্ধ করে নাটকীয়ভাবে পাবনা জয় করলেন।

ব্যাখ্যা: বগুড়ার- বগুড়া, নবাব- চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজ- সিরাজগঞ্জ, শাহ- রাজশাহী, নও- নওগাঁ , মাস- যুদ্ধ- করে নাটকীয়ভাবে- নাটোর, পাবনা- পাবনা, জয়- জয়পুরহাট।

 

ঢাকা বিভাগের জেলা সমূহের নাম মনে রাখার কৌশল

বিভাগ-ঢাকা প্রতিষ্ঠিত হয়-১৮২৯জেলা-১৩টি ঢাকা বিভাগের জেলাগুলো হলো- মানিকগঞ্জ মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর গাজীপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, শরীয়তপুর, ঢাকা, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর।

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়: মানিক মুন্সি আর ফরিদ গাজী রাজার নিকট প্রতিবাদ জানালো যে,গোপাল নারায়ণ সাহেব নরসিংহের ন্যায় শরিয়ত অমান্য করে ঢাক ঢোল পিটিয়ে টাঙ্গাইলের এক কিশোরকে মাদারী বলে গালি দিয়েছে।

ব্যাখ্যা:  মানিক- মানিকগঞ্জমুন্সি- মুন্সিগঞ্জ, ফরিদ- ফরিদপুর, গাজী- গাজীপুর, রাজার- রাজবাড়ী, গোপাল- গোপালগঞ্জনারায়ণ- নারায়ণগঞ্জ, নরসিংহের- নরসিংদীশরিয়ত- শরীয়তপুরঢাক- ঢাকা, ঢোল টাঙ্গাইলের- টাঙ্গাইল, কিশোরকে- কিশোরগঞ্জ, মাদারী- মাদারীপুর।

 

ময়মনসিং বিভাগের জেলা সমূহের নাম মনে রাখার কৌশল

বিভাগ- ময়মনসিংহ প্রতিষ্ঠিত হয়- ২০১৫জেলা- ৪টি  ময়মনসিংহ জেলার সংখ্যা চারটি- নেত্রকোণা, জামালপুর, ময়মনসিংহ, শেরপুর।

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়: নেএকোনার জামাল সাহেব নয়মন শিং মাছে শের বেশি দিল।

ব্যাখ্যা: নেএকোনার- নেত্রকোণা, জামাল- জামালপুর, নয়মন শিং- ময়মনসিংহশের-শেরপুর।

 

খুলনা বিভাগ বিভাগের জেলা সমূহের নাম মনে রাখার কৌশল

বিভাগ- খুলনা প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৬০জেলা- ১০টি খুলনা বিভাগের 10 টি জেলার নাম- সাতক্ষীরা, মাগুরা, বাগেরহাট, মেহেরপুর, খুলনা, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, নড়াইল, কুষ্টিয়া, যশোর।      

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়: সাত সন্তানের মা বাঘিনী কন্যা মেহেরুন্নেছা চুল খুলে ঝিনুক ডাঙ্গায় বসে নর প্রেমে মজিয়া লোকের কুৎসায় আপনার যশ খ্যাতি হারাইল।

ব্যাখ্যা: সাত- সাতক্ষীরামা- মাগুরা, বাঘিনী- বাগেরহাট, মেহেরুন্নেছা- মেহেরপুরখুলে- খুলনাঝিনুক- ঝিনাইদহ, ডাঙ্গায়- চুয়াডাঙ্গানর- নড়াইল, কুৎসায়- কুষ্টিয়াযশ- যশোর।

 

চট্টগ্রাম বিভাগের জেলা সমূহের নাম মনে রাখার কৌশল

বিভাগ- চট্টোগ্রাম প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৮২৯জেলা-১১টি চট্টগ্রাম বিভাগের জেলা কয়টি জেলা রয়েছে- চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়াফেনী, কক্সবাজার, লক্ষ্মীপুর, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর , নোয়াখালী, কুমিল্লা।

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়: গ্রামের ব্রাহ্মণ ফেনী বাজারের লক্ষী দেবীকে ছড়ি হাতে বললেন যে,বান্দর আবার রাঙা চাঁদ হয় নাকি হোক সে নোয়া কিংবা পুরাতন,এসবই কু-কথা।

ব্যাখ্যা: গ্রামের- চট্টগ্রামব্রাহ্মণ- ব্রাহ্মণবাড়িয়া,   ফেনী- ফেনীবাজারের- কক্সবাজার, লক্ষী- লক্ষ্মীপুরছড়ি- খাগড়াছড়ি, বান্দর- বান্দরবান, রাঙা- রাঙ্গামাটি, চাঁদ- চাঁদপুর, নোয়া- নোয়াখালী, কু-কথা- কুমিল্লা

 

বরিশাল বিভাগের জেলা সমূহের নাম মনে রাখার কৌশল

বিভাগ-বরিশাল প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৯৩জেলা- ৬টি বরিশাল বিভাগে মোট টি জেলা রয়েছে - পিরোজপুর, বরিশাল, বরগুনা ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, ভোলা।

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়: পরীর বর ঝাল পটেটো ভালোবাসে

ব্যাখ্যা: পরীর- পিরোজপুর, বর- বরিশাল, বরগুনা, ঝাল- ঝালকাঠি, পটেটো- পটুয়াখালী, ভালোবাসে-ভোলা।

 

আমাদের বাংলাদেশ

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য:

বাংলাদেশকে বলা হয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমিবাংলাদেশ যেন লাল সবুজে ঘেরা স্বপ্নময় স্বর্গভূমি।  ভোরের উদীয়মান লাল সূর্য যেমন আভাস দেয় নতুনত্বেরনতুন কোন আবিষ্কারের ঠিক তেমনি বাংলার চিরচেনা সবুজ  ফসলে ঘেরা মাঠ আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় বাংলার মনমুগ্ধকর এক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা।  বাংলা জানো সবুজে ঘেরা এক সবুজের সমারোহযেদিকে তাকাই শুধু সবুজ আর সবুজ।  এছাড়া বাংলাদেশে রয়েছে বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি পার্বত্য অঞ্চলযেখানে গেলে আপনি হারিয়ে যাবেন পাহাড়ের ভাঁজেসে যেন প্রতিটা ভাঁজে ভাঁজে সাজিয়েছে নতুন নতুন চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য দিয়ে। বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চল পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পুরো পৃথিবীতে সুনাম কুড়িয়েছে সেখানে প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক আসে পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য অবলোকন করতে।  

 

এখানেই শেষ নয় আমাদের দেশে রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, পৃথিবীর আর কোথাও এত বড় সমুদ্র সৈকত নেই।  কুয়াকাটার এই সমুদ্রসৈকতে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ পর্যটন আসে সমুদ্রের  জলে আঁছড়ে পড়তেসমুদ্রের  ঢেউয়ে নিজেকে ভাসিয়ে দিতে।  বাংলাদেশের রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন।  এখানে রয়েছে হাজারো রকমের বন্যপ্রাণী যেন এক বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য। এখানে রয়েছে বাংলার রাজকীয় বাঘ রয়েল বেঙ্গল টাইগারচিত্রা হরিণ, মায়া হরিণ, হাতি হাজার রকমের পাখিএছাড়া আরো হাজারো প্রাণীর অভায়ারণ্য সুন্দরবন।

 

বাংলাদেশকে বলা হয় নদীমাতৃক দেশআমাদের 270 বেশি নদীএছাড়াও রয়েছে নাম-না-জানা অসংখ্য খাল-বিল হাওর-বাঁওড়।  আমাদের দেশে রয়েছে পদ্মা-মেঘনা-যমুনা-কর্ণফুলী- ব্রহ্মপুত্র, আরো আছে হাকালুকি হাওরচলনবিলইত্যাদি। আমাদের দেশে অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে রাজস্থান করে নিয়েছে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায়আহসান মঞ্জিল থেকে শুরু করে মহাস্থানগড়ের ঐতিহাসিক স্থাপনা সবার মন কাড়ে।  সব মিলিয়ে বাংলাদেশে জানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক লীলাভূমিএখানে যেমন

 

বাংলাদেশের পোশাক শিল্প:

বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানিতে এখন বিশ্বে দ্বিতীয়পৃথিবীর বুকে একবুক গর্ব নিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে আমাদের পোশাক শিল্প সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখেছে।  বাংলাদেশ শ্রমমূল্য সবচেয়ে কম থাকায় পোশাক উৎপাদনে সবচেয়ে কম খরচ হয়আমাদের পোশাক এর মান পৃথিবীর যেকোনো দেশের পোশাকের সাথে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকার মত। দায়িত্ব বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পোশাক জায়গা করে নিয়েছে এবং বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়।  আমরা সত্যিই গর্বিত যে বিশ্ববাজারে পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত দেশগুলোর সাথে প্রতিযোগিতা করে আমাদের পোশাক শিল্প জয় করেছে তাদের বাজারগুলোকে।  বিশ্বের প্রতিটি দেশেই বাংলাদেশের পোশাকের চাহিদা রয়েছে, তাইতো বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের পোশাক শিল্প এখনো দাঁড়িয়ে আছে স্থির হয়ে।

 

বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের মধ্যে 80 শতাংশই নারী শ্রমিক,   বাংলাদেশের পোশাক মালিকগণ সে ক্ষেত্রে অনেকটাই কম মূল্যে শ্রম পেয়ে থাকেন যার ফলে তারা বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে অনেকটা সুবিধা পেয়ে থাকেন।  তবে এতকিছুর মধ্যেও সবচেয়ে হতাশাজনক দুঃখজনক মর্মান্তিক কথা হচ্ছে বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকরা কিন্তু তাদের অধিকার পাচ্ছে না এমনকি তাদের কাজের পরিবেশও উপযুক্ত নয়।  সেখানে তাদের জীবনের নিরাপত্তা নেই, স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিপরীতে কোন সহায়তা নেই, নেই কোন চাকরির নিশ্চয়তা। আমরা দেখেছি 2014 সালে রানা প্লাজা ধসে বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকের কাজের পরিবেশ কেমন তা স্পষ্ট উঠেছিলএছাড়াও তাজরিন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ড এরকম অহরহ ঘটনা যেন প্রতি নিয়ত ঘটে চলেছে গার্মেন্টস শিল্প।  যে শিল্পের উপর দাঁড়িয়ে এখনো টিকে আছে বাংলাদেশের অর্থনীতি সেই শিল্পী যেন সবচেয়ে বেশি অসঙ্গতি।  যাদের শ্রমে আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল হয়ে আছে তাদের জীবনের কোন মূল্য নেই নেই কোনো নিশ্চয়তা। 

কিন্তু আমরা চাই যে শিল্পের উপর দাঁড়িয়ে আমাদের অর্থনীতি এখনো বিশ্ব বাজারে টিকে আছেযাদের শ্রমের বিনিময়ে আমরা বিশ্ববাজারে গর্বের সাথে আমাদের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য করে যাচ্ছি তাদের জীবনের নিরাপত্তা চাই।  আমরা গার্মেন্টশিল্পে কাজের জন্য উপযুক্ত একটি পরিবেশ চাই যে পরিবেশের নারী-পুরুষ উভয়েই সম্মিলিতভাবে কাজ করতে পারবে, যেখানে থাকবে না কোন বৈষম্য, থাকবে না কোনো যৌন হয়রানি। এমন সুন্দর একটি পরিবেশ গার্মেন্টস শিল্পে সবারই কাম্য তাতে টিকে থাকবে আমাদের গার্মেন্টশিল্প আরো সচল হবে আমাদের অর্থনীতির চাকা।






একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

3 মন্তব্যসমূহ

Emoji
(y)
:)
:(
hihi
:-)
:D
=D
:-d
;(
;-(
@-)
:P
:o
:>)
(o)
:p
(p)
:-s
(m)
8-)
:-t
:-b
b-(
:-#
=p~
x-)
(k)