মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক মনে রাখার কৌশল
বকুলপূরের অরণ্যে নরক হতে আয়নার পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়-
- পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় – সৈয়দ শামসুল হক
- বকুলপুরের স্বাধীনতা;মমতাজউদদীন আহমদ।
- নরকে লাল গোলাপ;আলাউদদীন আল আজাদ।
- আয়নায় বন্ধুর মুখ;আবদুল্লাহ আল মামুন।
- যে অরন্যে আলো নেই;নীলিমা ইব্রাহিম।
মুক্তিযুদ্ধের ছোটগল্প
নামহীন বীরাঙ্গনা মিলির জন্ম একাত্তরে
- নামহীন গোত্রহীন;হাসান আজিজুল হক।
- বীরাঙ্গনার প্রেম;বিপ্রদাস বড়ুয়া।
- মিলির হাতে স্টেনগান;আখতারুজ্জামান ইলিয়াস।
- জন্ম যদি তব বঙ্গে;শওকত ওসমান।
- একাত্তরের যীশু;শাহরিয়ার কবির।
যুদ্ধ পূর্ব চলচ্চিত্র
বিদ্রোহী কিষাণ রাঙানীড় সাথে ক্রীতদাসের হাসি হাসে-
- ক্রীতদাসের হাসি;১৯৬২;শওকত ওসমান।
- কিষাণ;১৯৬৯;ইন্দু সাহা।
- রাঙ্গা প্রভাত;১৯৫৭;আবুল ফজল।
- নীড় সন্ধানী;১৯৬৮;আনোয়ার পাশা।
- বিদ্রোহী কৈবর্ত;১৯৬৯;সত্যেন সেন।
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস মনে রাখার কৌশল
- হুমায়ন আহমেদ -আগুনের পরশমণির, শ্যামল ছাঁয়া
- শওকত ওসমান- দুই সৈনিক, নেকড়ে অরণ্য, জন্ম যদি হয় বঙ্গে, জলাংগী জাহান্নাম হতে বিদায়
- নীল দংশন, নিষিদ্ধ নোবান- সৈয়দ শামসুল হক
- আনোয়ার পাশা - রাইফেল রুটি আওরাত
- আবু জাফরের শামসুদ্দিন - দেয়াল
- বিধ্বস্ত রোদের ঢেউ - সরদার জয়েন উদ্দিন
- সেলিনা হোসেন - নিরন্তর ঘন্টাধ্বনি, কাঁটাতারে প্রজাপতি, হাঙ্গর নদী গ্রেনেড,
- রশিদ হায়দার - খাঁচায়
- মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস - আমজাদ
- উপমহাদেশ- আল মাহমুদ
- এক প্রজন্মের সংলাপ - নূর মোহাম্মদ মোল্লা
- আঃ রউফ -মুক্তি স্নান,
মুক্তিযুদ্ধের কবিতা
দগ্ধ গ্রামের বন্দী শিবির থেকে প্রথম শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্রদের প্রতি সম্মান জানানো হয়-
- মুক্তিযোদ্ধা;জসীমউদদীন।
- দগ্ধগ্রাম;জসীমউদদীন।
- বন্দী শিবির থেকে;শামসুর রহমান।
- পুত্রদের প্রতি;আবুল হোসেন।
- প্রথম শহীদ বাংলাদেশের মেয়ে;সুফিয়া কামাল।
মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র মনে রাখার কৌশল
(৭১ এর গেরিলা, আামর জন্মভূমি, ইতিহাস কথা বলে, আমার বন্ধু রাশেদ, রাবেয়া, মেহেরজান, বাংলার ২৪ বছর, কলমিলতা, খেলাঘর, শ্যামল ছায়া, মাটির ময়নার, হাঙ্গর নদী গ্রেনেড, খন্ডগল্প, এখনও অনেক রাত, ওরা ১১ জন, রুপালি সৈকত, ধ্রুবতাঁরা, আলোর মিছিল, রক্তাক্ত বাংলা, সংগ্রাম, বাঘা বাংগালি, জয়বাংলা, চিৎকার, বাঁধন হারা, গেরিলা, কার হাসি কে হাসে, আবার তোরা মানুষ হ, জয়যাত্রা, মেঘের পরে মেঘ, মেঘের অনেক রং, ধীরে বহে মেঘনা, অরুণোদয়ের অগ্নি সাক্ষী)
প্রথম বাংলা চলচ্চিত্রের নাম ও সাল
(বাংলা চলচ্চিত্র ১৮৯০ সালে কলকাতায় বায়োস্কোপ নামে শুরু হয়েছিল। মুখ ও মুখোশ বাংলাদেশের তথা পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম স্থানীয়ভাবে নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য সবাক চলচ্চিত্র, ১৯৫৬ সালের ৩ আগস্ট মুক্তিপ্রাপ্ত। স্বাধীনতার পরে ১৯৭২ প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত “ওরা ১১ জন” ।
মুক্তিযুদ্ধের প্রামান্য চিত্র
দুঃসময়ের বন্ধু লিবারেশন ফাইটার্সরা জেনোসাইড স্টপ করতে একাত্তরে মুক্তির গান গেয়েছিল-
- দুঃসময়ের বন্ধু;শাহরিয়ার কবির।
- ১৯৭১;তানভীর মোকাম্মেল।
- স্টপ জেনোসাইড;জহির রায়হান।
- মুক্তির গান;তারেক মাসুদ ও ক্যাথরিন মাসুদ।
- লিবারেল ফাইটার্স;আলমগীর কবির।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা
আমি বিজয়ের একাত্তরের ডায়েরিতে একাত্তরের দিনগুলি পড়েছি-
- আমি বিজয় দেখেছি;এম আর আখতার মুকুল।
- একাত্তরের দিনগুলি;জাহানারা ইমাম।
- একাত্তরের ডায়েরী;সুফিয়া কামাল।
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ভাস্কর্য
স্বাধীনতার অপরাজেয় বীর, জাতীয় বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতিসৌধে সম্মান জানায় সংশপ্তক-
- স্বোপার্জিত স্বাধীনতা;ঢাবি;শামীম শিকদার;
- অপরাজেয় বাংলা;ঢাবি;সৈয়দ আবদুল্লাহ খালেদ।
- জাতীয় স্মৃতিসৌধ;সাভার;সৈয়দ মইনুল হোসেন।
- বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ;মিরপুর;মোস্তফা হারুন কুদ্দুস হিলি।
- সংশপ্তক; জাবি. হামিদুজ্জামান খান
ভাষা আন্দোলনভিত্তিক বই
ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক উপন্যাস মনে রাখার কৌশল
আরেক ফালগুনের অপেক্ষায় নিরন্তর আর্তনাদ করে চলেছি-
- আরেক ফালগুন;জহির রায়হান।
- আর্তনাদ;শওকত ওসমান।
- নিরন্তর ঘন্টাধ্বনি;সেলিনা হোসেন।
ভাষা আন্দোলনের ছোটগল্প
একুশের শ্রম মৌন নয়-
- একুশের গল্প;জহির রায়হান।
- পগুশ্রম;আবু ইসহাক।
- মৌন নয়;শওকত ওসমান।
ভাষা আন্দোলনের কবিতা
একুশের শহীদ স্বরণে স্মৃতিস্তম্ভে কাঁদতে আসিনি, সংগ্রাম চলবেই-
- কাঁদতে আসিনি,ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি;মাহবুব উল আলম
- শহীদ স্মরনে;মো.মনিরুজ্জামান।
- সংগ্রাম চলবেই;সিকানদার আবু জাফর।
- স্মৃতিস্তম্ভ;আলাউদ্দিন আল আজাদ।
- একুশের কবিতা;আল মাহমুদ
ভাষা আন্দোলনের গান
ওরে আমার ভাইয়ের বাংলা বনে জাগিছে প্রভাত-
- আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো;আবদুল গাফফার
- বাংলা বিনে গতি নাই;আবদুল লতিফ।
- ওরা আমার মুখের ভাষা কাইরা নিতে চায়;আবদুল লতিফ।
- জাগিছে প্রভাত;জসীমউদদীন।
ভাষা আন্দোলনভিত্তিক নাটকঃ কবর ;মুনীর চৌধুরী।
ভাষা আন্দোলনভিত্তিক চলচ্চিত্রঃজীবন থেকে নেয়া; Let there be light জহির রায়হান।
বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ
বাংলাদেশের ইতিহাস এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের ইতিহাস, বাংলাদেশের ইতিহাস শোষণ বঞ্চনার বিরুদ্ধে বাংলার দামাল ছেলেদের বীরত্বের ইতিহাস, বাংলাদেশের ইতিহাস এক মহান ত্যাগের ইতিহাস. বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব ছিলেন নবাব সিরাজউদ্দৌলা, নবাব সিরাজউদ্দৌলার ইংরেজদের কাছে পলাশীর প্রান্তরে পরাজিত হওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলার শাসনভার চলে যায় ইংরেজদের হাতে. এরপর দীর্ঘ 200 বছর ইংরেজ দের শোষণের শিকার হয় বাংলার জনগণ, ভারত উপমহাদেশ থেকে ইংরেজদের বিদায়ের পর সাতচল্লিশে ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ হলে দুটি স্বাধীন দেশের জন্ম হয় একটি ভারত আর অন্যটি পাকিস্তান. পাকিস্তানের দুটি অংশ থাকে একটি পশ্চিম পাকিস্তান একটি পূর্বঘোষিত আমরা ভৌগোলিক কারণে পূর্ব পাকিস্তান অবস্থান করি.
এরপর 47 থেকে 71 দীর্ঘ 24 বছর বাঙালি জাতি শোষণ বঞ্চনা আর জাতি বৈষম্যের শিকার হয়েছে. পাকিস্তানী শাসকগণ বাংলার জনগণকে সব সময় সসল করেছে, লুটপাট করেছে আমাদের দেশে সম্পদ. তারা প্রতিটা জায়গায় জাতিগত বৈষম্য প্রতিষ্ঠা করেছিল, চাকরি থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য সব জায়গায় পশ্চিম পাকিস্তানে ছিল আধিপত্য. ওরা আমাদের মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিল, বলেছিল আমাদেরকে নাকি উর্দুতে কথা বলতে হবে. কিন্তু যে দেশে রফিক শফিক জব্বার সালাম এর মত বীর ছেলেরা জন্ম নেয় তারা কি কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে? তাইতো সেদিন বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে একুশে ফেব্রুয়ারীতে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে বাংলা মায়ের মুখের ভাষা ফিরিয়ে দেয় রফিক শফিক জব্বার সালামরা. এখানেই শেষ না তারা রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক সামাজিক প্রত্যেকটা জায়গায় বাঙালিকে শোষণ পড়েছে পড়েছে বঞ্চনার শিকার. কিন্তু বাঙালি জাতি কখনো পাকিস্তানিদের অন্যায় অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করে নি তারা.
বাঙালি জাতি সর্বদা ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর এবং তাদের সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল রাজপথে. বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে, 54 প্রাদেশিক নির্বাচন, 56 শাসনতন্ত্র আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, শিশুটির ছয় দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং সর্বশেষ একাত্তরের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ. যুদ্ধে বীর প্রতীক দুর্বার প্রতিরোধ এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে দন্ডায়মান অপ্রতিরোধ্য শক্তি, যে শক্তি কখনো পাকিস্তানের অন্যায়-অত্যাচারের কাছে মাথা নত করেনি. একাত্তরের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা পাই একটি লাল সবুজের পতাকা, একটি স্বাধীন ভূখণ্ড বাংলাদেশ. বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার নেতৃত্বে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা বিজয় লাভ করি.
বাংলাদেশের সভ্যতা ও সংস্কৃতি
বাংলাদেশের সভ্যতা ও সংস্কৃতি একদম পুরনো না হলেও অনেকটাই পুরনো. বাংলাদেশের সর্বপ্রথম জনবসতি স্থাপন করা হয় কোন নগরে অর্থাৎ মহাস্থানগড় যেটি বর্তমানে বগুড়া জেলায় অবস্থিত. বাংলাদেশের সভ্যতা ও সংস্কৃতি খুবই মর্যাদাপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ, আমাদের সংস্কৃতি পৃথিবীর যেকোন সংস্কৃতি থেকে উত্তম এবং আমরাই পৃথিবীর সভ্য জাতি হিসেবে নিজেদেরকে দাবি করতে পারে. যদিও খানিকটা বেমানান হতে পারে তবে নীচের ব্যাখ্যা গুলো লক্ষ্য করুন সেক্ষেত্রে পরিষ্কার হয়ে যাবেন-
বাংলাদেশ পোশাক, পৃথিবীর যেকোন দেশে পোশাক লক্ষ করুন সেখানে ভদ্রতার লেশমাত্র নেই. যেখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নারী-পুরুষ অর্ধনগ্ন তারাই আবার নিজেদেরকে পৃথিবীর সভ্য হিসেবে দাবি করে. বিষয়টা খুবই হাস্যকর যেখানে তারা শরীর তাকে অর্ধনগ্ন করে রেখেছে, পোশাকের রুচিবোধ যাদের এত নিচে তারা নিজেদেরকে কিভাবে শব্দ হিসেবে দাবি করতে পারে? বাংলাদেশের পোশাক খুবই ভদ্র এবং শালীন, ছাড়ো মেয়েরা পরে শাড়ি বা সালোয়ার কামিজ, আর পুরুষরা পরে পায়জামা-পাঞ্জাবি, বা প্যান্ট শার্ট.
এছাড়াও খাবারে রয়েছে অনেক পার্থক্য, ভারত উপমহাদেশ তথা বাঙালিরা সাধারণত স্বাস্থ্যসম্মত রুচি সম্মত খাবার খেয়ে অভ্যস্ত. আমাদেরকে বলা হয় মাছে ভাতে বাঙালি, বাঙালি মাছ আর হাতেই বেশী অভ্যস্ত. অন্যদিকে উন্নত দেশগুলোর খাদ্যতালিকার দিকে লক্ষ্য করুন, পোকামাকড় থেকে শুরু করে সাপ বিচ্ছু কিংবা কুকুর বিড়াল কোনটাই বাদ যায় না তাদের খাদ্য তালিকা থেকে, এতকিছুর পরেও তারা নিজেদেরকে ছাত্র বলে দাবি করে.
পরিশেষে বলতে চাই বাংলাদেশের সভ্যতা ও সংস্কৃতি পৃথিবী প্রতিটি মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে, আমরা অতিথি পরায়ণ, আমরা মানুষের সাথে গল্প করতে পছন্দ করি, কুশল বিনিময় করতে পছন্দ করি, আমরা সামাজিক সামাজিক ও তাকে মূল্যায়ন করি. বাংলাদেশ সভ্যতা ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধিশালী এবং আমাদের ঐতিহ্য অত্যন্ত গর্বের এবং সম্মানের.
0 মন্তব্যসমূহ